A Islamic science story by Narshingbari Saddam

বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান......

Saddam Hussain
বর্তমান দুনিয়ায় মুসলিম জাতির অবস্থা দেখলে মনে হয় তারা ধনে এবং জ্ঞানে দরিদ্র। কিন্তু এমন তো হবার কথা নয়! যে জাতির সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র পৃথিবীতে তারা জ্ঞানের মহিমা প্রচার করবে, পৃথিবীকে শাসন করবে; শাসিত হবে না, আল্লাহর অসামান্য ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে, কিন্তু কেন তারা আজ এমন অসহায়? তারাই আজ সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত? নিগৃহীত? অথচ মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! কুরআন এ জন্য নাযিল করিনি যে, তুমি মন মরা হয়ে থাকবে, কষ্টে থাকবে।’কুরআনের নাযিলকৃত প্রথম আহ্বানের পাঁচটি আয়াতে প্রথমে পড়ার কথা বলা হলো এবং তারপর কলমের কথা। অথচ দুঃখের সাথে বলতে হয় কোটি কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠী আজও কলমের ব্যবহার করতে জানে না। কুরআনের বহু জায়গায় ‘ইলম’-এর কথা বলা হয়েছে। ‘ইলম’-এর অর্থ-জ্ঞান, আবার Science-এর আরবী অর্থ ‘ইলম’। বলা হয়েছে যারা জানে এবং যারা জানে না তারা সমান নয়। ইসলামে বিদ্বান ব্যক্তির বহু ধরনের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে মুসলমানদের যে ওতপ্রোত সম্পর্ক ছিলো তা আজ আমাদের খুঁজে বের করতে হয়। অথচ একদিন এমনটি ছিলো না। মুসলমানই কয়েক শতাব্দীব্যাপী বিজ্ঞানের মশালকে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। জন্ম দিয়েছিলেন মানব ইতিহাসের অনন্য সাধারণ একটি অধ্যায়ের, যে অধ্যায়ের ইতিহাস লিখতে গিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছিলেন কট্ররপস্থী অনেক ইসলাম বিদ্বেষীও।এই লক্ষ্যে মুসলমানদের অনন্য সাধারণ ঐতিহাসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা তুলে ধরেছেন তরুণ লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ নূরুল আমীন তার এই গ্রন্থে। গ্রন্থটি ‘বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মুসলমান’ ও প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে মুসলমান’-এই দু্‌ইটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। আশা করি মুসলমানদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ইতিহাস নিয়ে লেখা প্রয়োজনীয় এই বইটি নতুন প্রমন্মকে অনুপ্রানিত এবং অগ্রহী করবে এবং বইটির সাফল্য কামনা করি।
Previous Post Next Post